বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর এবং যাহার নিকট হইতে ইচ্ছা ক্ষমতা কাড়িয়া লও, যাহাকে ইচ্ছা তুমি ইজ্জত দান কর, আর যাহাকে ইচ্ছা তুমি হীন কর। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয় তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। [কুরআন ০৩: ২৬]
তুমি যাহাকে ভালোবাসো, ইচ্ছা করিলেই তাহাকে সৎপথে আনিতে পারিবে না। তবে আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা সৎ পথে আনয়ন করেন এবং তিনিই ভালো জানেন সৎপথ অনুসারীদেরকে। [কুরআন ২৮: ৫৬]
তুমি যাহাকে ভালোবাসো, ইচ্ছা করিলেই তাহাকে সৎপথে আনিতে পারিবে না। তবে আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা সৎ পথে আনয়ন করেন এবং তিনিই ভালো জানেন সৎপথ অনুসারীদেরকে। [কুরআন ২৮: ৫৬]
আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নাই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁহাকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সমস্ত তাঁহারই। কে সে, যে তাঁহার অনুমতি ব্যতীত তাঁহার নিকট সুপারিশ করিবে? তাহাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যাহা কিছু আছে, তাহা তিনি অবগত। যাহা তিনি ইচ্ছা করেন তদ্ব্যতীত তাঁহার জ্ঞানের কিছুই তাহারা আয়ত্ত করিতে পারে না। তাঁহার ‘কুরসি’ আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত। ইহাদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁহাকে ক্লান্ত করে না; আর তিনি মহান, শ্রেষ্ঠ। [কুরআন ০২: ২৫৫]
আনাস বিন মালিক (রা:) বর্ণনা করে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন,
তোমাদের কেউ যখন কোনো দুআ করে, তখন তার দুআর ব্যাপারের উচিত পূর্ণ আস্থাবান হওয়া। তাঁর এভাবে বলা উচিত নয় যে ‘তুমি যদি চাও তাহলে দাও’; কারণ আল্লাহকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ কোনো কিছুতে বাধ্য করতে পারে না। [সহীহ বুখারি]
আবু কাতাদা বর্ণনা করেন, একবার সাহাবিরা অনেক দেরি করে ঘুমুতে যাওয়ার কারণে ফজরের সালাত পড়তে পেরেছিলেন না, তখন তিনি বলেন, আল্লাহ যখন চেয়েছেন তখন তিনি তোমাদের (নিদ্রাকালীন) জান নিয়ে নিয়েছেন, আবার যখন ইচ্ছা করেছেন তখন (তোমাদের শরীরে) প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন। তারপর লোকেরা ওঠে প্রাতকর্ম সেরে অজু করে নেন, এমনকি সূর্য ওঠে যায়, আকাশ ফরসা হয়ে যায়, তখন রাসূলুল্লাহ (সা:)সবাইকে নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করেন। [সহীহ বুখারি]
সংশ্লিষ্ট ব্যাখ্যা:
মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির ব্যাপারে যা ইচ্ছা করেন, তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই করেন। কেউ তাঁর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয় না এবং কেউ তাঁর সিদ্ধান্ত রদ করতে পারে না। যা কিছু অস্তিত্বমান, সৃষ্টিজগতে যা কিছু হয়, সব আল্লাহর ইচ্ছা ও পরিকল্পনায় হয়।
গুরুত্ব:
জীবনের অনেক ঘটনার প্রেক্ষাপটে ঈমানদারদের উচিত শান্ত চিত্তে, সন্তুষ্টির সঙ্গে পরিস্থিতি মেনে নেওয়া। বিশেষত যখন পরিস্থিতির ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। কারণ শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ যা চাইবেন তা-ই সংঘটিত হবে। আমাদের সকল পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনিই সবচেয়ে ভালো জানেন, তাঁর সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারলে, সেটা অন্তরে এক গভীর প্রশান্তি বয়ে আনে।
বই : তাঁর পরিচয়
লেখক : উম্মে আবদুর রহমান সাকিনা হার্শফেল্ডার
অরিজিনাল বইয়ের লিংক ... বইটির লিংক:
