ভালোবাসার চাদরে : এক সাথে পথ চলা - ড. বিলাল ফিলিপস

| একসাথে পথচলা |


স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক অংশীদারিত্বপরূ্ণকিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত একটি চুক্তির নাম ‘বিয়ে’। বিয়ে তাদের মাঝে একটি অংশীদারিত্বপূর্ণসম্পর্কের সৃষ্টি করে যে সম্পর্কটিতে উভয়কেই নিজ নিজ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হয়। এভাবেই হাতে হাত রেখে জীবনপথের সকল বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে মিলেমিশে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। 

পুরুষ হলো সংসারের প্রধান কর্তা। নারী তার সহযোগী। আপন ভুবনে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে পারঙ্গম নারীকে সংসারের অনেক কাজই সামলাতে হয়, যা পুরুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আবার পশ্চিমা ভাবাদর্শে প্রভাবিত হয়েকিছু নারী পুরুষকে ডিঙিয়ে পরিবারের কর্তা হতে চায়—এটাও উচিত নয়। এ রকম অস্বাভাবিক ও নিয়মবিরুদ্ধ চর্চার অনিবার্য পরিণতি হিসেবে এসব পরিবারে দেখা দেয় চরম বিশৃঙ্খল ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। 

স্বামী ও স্ত্রী প্রত্যেকের রয়েছে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য। একটি সুখী ও সার্থক দাম্পত্য-জীবনের নিশ্চয়তা স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক কর্তব্য পালন, তাদের পারস্পরিক অধিকার সংরক্ষণ ও পরস্পরের প্রতি আস্থা-বিশ্বাসের মাঝেই নিহিত। এসবের কোনোরূপ লঙ্ঘন পরিবারের নিশ্চিত বিপর্যয় ও ব্যর্থতার পথকে উন্মুক্ত করে দেয়। 

যৌথ দায়িত্ব, যৌথ প্রতিদান

এমন কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে যেগুলো নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য। উদাহরণস্বরূপ, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং তাঁর হুকুম আহকাম পালন করার যে দায়িত্ব তা উভয়ের জন্য সমান। অনুরূপভাবে, তাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ কর্মের জন্য দায়ী এবং নিজেদের কর্মের ব্যাপারে প্রত্যেককেই আলাদা আলাদাভাবে জবাবদিহি করতে হবে। দীনের সঠিক জ্ঞানার্জন করা, আল্লাহর ইবাদত করা এবং মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করা উভয়ের জন্যই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিকতার মানদণ্ডও উভয়ের জন্য একই। অন্য মানুষদের সাথে চলাফেরা এবং আচার-আচরণের ক্ষেত্রেও অনেক নিয়ম-কানুন তাদের উভয়কেই একইভাবে অনুসরণ করতে হয়।

বই : ভালোবাসার চাদর
লেখক : ড. বিলাল ফিলিপস, মুস্তাফা আল-জিবালী
অর্ডার লিংক 
অর্ডার করতে ক্লিক করুন