ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো এ দেশবাসীর জন্য আল্লাহর অনেক বড় নিয়ামতঃ
ইসলামী রাজনৈতিক দল যদি না থাকত তাহলে এ দেশের প্রায় সব মানুষ রাজনৈতিক জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় ধর্মনিরপেক্ষ বা ধর্মবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাপোর্টার হয়ে উঠতো। আর এতে করে তাদের সকলের ঈমান সংকটে পড়ে যেত।
ধর্মনিরপেক্ষতা মানে The belief that religion should not be involved in the organisation of society, education, etc
'সামাজিক কর্মকাণ্ড ও শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মের কোন সংশ্লিষ্টতা থাকবে না- এ বিশ্বাস ই হলো ধর্ম নিরপেক্ষতা (Oxford dictionary)।
উল্লেখিত মতবাদে বিশ্বাসী ব্যক্তিবর্গ ধর্মহীন সমাজ ব্যবস্হা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন লালন করায় পবিত্র কুরআনের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ফৌজদারি বিধান সংক্রান্ত সকল আয়াতকে অস্বীকার করতে বাধ্য। যা সুস্পষ্ট কুফর।
আর যারা বামপন্থী তারা তো রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্মকে প্রয়োজনই মনে করে না। তাই তারা সরাসরি কুফরিতে লিপ্ত।
এখন যদি ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো না থাকতো তাহলে লোকজনের জন্য রাজনৈতিক জীবনে কুফরি থেকে বেচেঁ থাকা কঠিন হয়ে যেত । তাই ইসলামী দলগুলোকে উল্লেখিত কুফর থেকে বাঁচার নিয়ামক মনে করি।
যে সকল আলেম-ওলামা, পীর-বুজুর্গ ও অরাজনৈতিক, সামাজিক ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এখনো ইসলামী রাজনৈতিক দলের আবশ্যকতা স্বীকার করে না, তাদের অধিকাংশ অনুসারী ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির সাথে জড়িতে হয়ে সুস্পষ্ট কুফরিতে লিপ্ত রয়েছে। আর অনুসারীদের এ কুফরির জন্য আল্লাহর কাছে অবশ্যই ঐ সকল আলেম নেতৃবৃন্দকে জবাবদিহি করতে হবে।
প্রশ্ন হতে পারে গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করে ভোটাভুটির মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা কি আদৌ সম্ভব?
অথবা গণতান্ত্রিক পন্থায় ইসলামী রাজনীতি করা কি জায়েয?
উত্তর হলো- বিকল্প অন্য কোন পন্থা না থাকায় এ ভোটাভুটিই এখন সরকার পরিবর্তনের সবচেয়ে সহজতর পন্থা। তাই বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলো গণতান্ত্রিক পন্হায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজ করছে।
আপনার যদি এ পন্থা পছন্দ না হয়,বা না জায়িয মনে হয়, তাহলে বিকল্প কী, তাও জাতিকে জানাতে হবে এবং সে বিকল্প পন্থায় আপনাকেও কাজ শুরু করতে হবে। নচেৎ আপনার অনুসারীরা রাজনৈতিক জীবনে আপনার নির্দেশনা না থাকায় ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে উঠবে। যা হবে তাদের ঈমান হারানোর অন্যতম কারণ। তাই ঈমান রক্ষার জন্য হলেও কোন না কোন ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন। - মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাশার।
