❝ আশা ছাড়া ন্যায়বিচার হয় না ❞
পুলিশ প্রসিডিউরাল থ্রিলার কাকে বলে এই বই পড়ার পূর্বে ঠিকঠাক ভাবে বোধহয় জানতাম না আমি। এই পর্যন্ত যতগুলো পুলিশ প্রসিডিউরাল থ্রিলার আমি পড়েছি তার মধ্যে মাইকেল কনেলির “দ্য কঙ্ক্রিট ব্লন্ড” থাকবে সবার উপরে। পাশাপাশি দ্য কঙ্ক্রিট ব্লন্ডকে কোর্টরুম থ্রিলারও বলা দরকার। পুরো গল্প এগিয়েছে দুটি পর্যায়ে ভাগাভাগি করে। কখনো গল্প এগিয়েছে পুলিশি তদন্তে আবার কখনো কোর্টরুম সিচুয়েশনে। এবং আমি দুটোই খুব চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছি। কীভাবে পাঠককে আটকে রাখতে হয় কনেলি তা ভালো করেই জানেন।
এই গল্পে লেখক দুঁদে গোয়েন্দা হ্যারি বশকে খুব বেশিই দৌড়ের উপর রেখেছেন বলা চলে। দেখা গেল একদিকে তাকে সামলাতে হচ্ছিলো চার বছর আগের কোনো সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এক মামলার রহস্য; যেখানে খু নের অভিযোগ উঠেছিল খোদ তার উপরেই এবং অন্যদিকে সমানতালে চালিয়ে যেতে হচ্ছিলো পুনরায় একের পর এক ঘটে যাওয়া খু নে র তদন্ত। মোদ্দা কথা রোলারকোস্টার টাইপ এডভেঞ্চার বলতে যা বোঝায় এই বই তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আমি ভেবে রেখেছিলাম বইটা পাঁচদিনে শেষ করবো কিন্তু তারও অর্ধেক সময়ে ৪৮০ পেইজের বই কবেই শেষ করে ফেলেছি টেরই পাইনি!
চিরকুটের নান্দনিক প্রোডাকশনের সাথে সায়েম সোলায়মান ভাইয়ার অনুবাদ আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলেছে দ্য কঙ্ক্রিট ব্লন্ডকে। তবে অনুবাদের ক্ষেত্রে “ বিশেষ ” এই শব্দটা এতবেশি ব্যবহার করা হয়েছে যে রীতিমতো বিরক্ত লেগেছে। শুধু এই একটা দিক বাদ দিলে আমার মতে দ্য কঙ্ক্রিট ব্লন্ড মাস্টরিড একটা বই।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৫/৫
NAIMUR Rahman
